একটি সুন্দর ও সফল জিবনের জন্য

দারুলকলম ইসলামিক ইনস্টিটিউট

About me

আমাদের কথা

মুহতারামআলহামদু লিল­াহ। আপনারা শুনে অত্যন্ত খুশি হবেন যে, নোয়াখালীতে এই প্রথম  কাওমী শিক্ষায় দাওরায়ে হাদীসের পাশাপাশী জেনারেল শিক্ষায় এম.এ, ক্লাস পর্যন্ত নযীরবিহীন একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় নীতিমালার পরিপূর্ণতা রক্ষার সাথে সাথে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা বলবত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির মূল দর্শন হচ্ছে, ইসলামী শিক্ষার বুনিয়াদ হলো ইলমে ওহী। আর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নির্ভর করে মানবীয় বুদ্ধির উপর। বুদ্ধি ও গবেষণাকে ওহীর আলোয় আলোকিত না করলে তা হবে নিছক ভ্রষ্টতা। তাই যুগ চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় মৌলিকত্ব অক্ষুন্ন রাখা আমাদের জন্য হবে অতীব কর্তব্য। যেন যুগসমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত সমাধান পেশ করতে দ্বিধা-সংকোচের মুখোমুখি হতে না হয়। কাজেই এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার সিলেবাস থাকবে, কুরআন, সুন্নাহ, ফিকাহ ও ইংরেজিসহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয়। এ সিলেবাসধারী আলেম হবেন দ্বীনি বিষয়ে গভীর পাÐিত্যের অধিকারী এবং আধুনিক জিজ্ঞাসার সঠিক সমাধানকারী। সুন্নাতের অনুসরণ, বিদআত বর্জন এবং আত্মশুদ্ধির ময়দানেও এরা উজ্জল নক্ষত্র হবে ইনশাআল­াহ। এরা যুগ চাহিদার সাথে বাংলা ইংরেজি, বিজ্ঞান ও গণিত শাস্ত্রে দক্ষতা অর্জনসহ সরকারি, বেসরকারী পর্যায়ে চাকুরীসহ চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যয়নের সুযোগ গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। 

আমাদের বৈশিষ্ট্য সমূহ

বিশুদ্ধ বাংলায় কোরআন, হাদিসের অনুবাদ করতে এবং ব্যাখ্যা করতে পারবে।
উপরের জামাতের কিতাব গুলোর মতন পাঠে ও যথাযথ ই’রাব প্রদান করতে পারবে।
আবরী ও ইংরেজী ভাষায় পরস্পর কথোপকথন ও লেখা লেখির যোগ্যতা অর্জন করবে।
লেখালেখিতে কলম সৈনিক হবে।
দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে আরব রাষ্ট্রগুলোতে আরবী ও ইউরোপ আমেরীকায় ইংরেজিতে দ্বীনি দাওয়াতের কাজ পরিচালনা করতে পারবে। ইন-শাআল্লাহ্
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সয়ং সম্পূর্ণ, তাই শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রাইভেট পড়তে হয় না।
পরিচ্ছন্ন আধুনিক ও সাস্থ্যসম্মত শ্রেণি কক্ষ।
সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ক্লাস মনিটরিং ও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা


আমরা কেন সফলতার শীর্ষে


আমরা ক্লাস নেয়ার পর শিক্ষকের তদারকিতে পাঠ্যের তাকরার করিয়ে থাকি।
প্রত্যেকটি অধ্যায় কে পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে শেষ করি যাতে উক্ত অধ্যায়ে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন হয়।
নিজস্ব গবেষণালব্ধ সহজ পদ্ধতিতে নাহু ও ছরফের
(আরবী ব্যাকরণ) শিক্ষা দেয়া হয়।
হাফেয ছাত্রদেরকে হাফেয শিক্ষক দ্বারা দৈনিক তেলাওয়াত ও দাওর করানো হয়।
দৈনিক রোজ নামচা আরবী ও ইংরেজিতে লিখানো হয়।
বাংলা সাহিত্য চর্চায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পাক্ষিক সেমিনারে বাংলা, ইংরেজি ও আরবী বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর নিজ থেকে লিখার উপযোগি করে গড়ে তোলা হয়।

প্রধান আকর্ষণ

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার নেসাব অক্ষুণœ রেখে স্কুল শিক্ষার প্রথমিক স্তর থেকে স্নাতক পর্যন্ত মানবিক বিভাগের (আপাতত)  বিষয়সমূহ সমন্বিত করে এর সিলেবাস প্রণীত হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নাহবেমীর জামাত থেকে তাকমীল (দাওরায়ে হাদীস) পর্যন্ত  কাওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সমন্ত পরীক্ষায় এবং পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষার ৫ম শ্রেণীর সমাপনী থেকে স্নাতক পর্যন্ত সকল সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সার্টিফিকেট লাভ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে স্কুল সিলেবাসে ক্লাস ফোর থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলছে।

No comments

Powered by Blogger.